পরবাস পর্ব:
অদ্ভুত একটা দেশে এসে পড়েছি! এদেশের আকাশ সবসময় মেঘাচ্ছন্ন.. সূর্য ওঠেই না বললে চলে! হয় বৃষ্টি নয়তো বরফ!!
বর্ষাকাল আমার খুবই প্রিয়.. আমি তো বর্ষার মেয়ে, তাই বৃষ্টির সাথে আমার খুব আপন সম্পর্ক। কিন্তু এদেশের বৃষ্টিটাও বাজে! এরা অতি সন্তর্পণে ঝরবে! কেন রে বাবা! ঝমঝমিয়ে নাম না একবার!! তা নয়, টিপ টিপ করে পড়ছে। যেন একটু বেশি জোরে বৃষ্টি হলেই মাস্টারমশাই খুব বকে দেবে!
কলকাতায় অফিস যাওয়ার সময় খুব চাইতাম একটু মেঘ করুক, সেইসময় আমি অফিস পৌঁছে যাই টুক করে! আর এখানে চাইছি সূর্য উঠুক অন্তত আজকে! অনন্ত অপেক্ষা তবু সূর্য উঠছে না! সেই কবে ভারতবর্ষে সূর্যের মুখ দেখেছিলাম!
গতকাল গোটা বিশ্বে উল্কাপাত হলো, সবাই দেখলো আমি বাদে!
মেঘাচ্ছন্ন মাইন্জ!
আমার দেশের পেঁয়াজের রংটাও কি সুন্দর...কথাতেই আছে পেঁয়াজী রং! ও বাবা! এ দেশের পেঁয়াজ তো সবুজ!!!!
এতো সবুজের বহর দেখলে আমাদের দিদি ভারী খুশি হতো!
কি ভাগ্যিস গাজরের রংও সবুজ নয়!
এখানে আমি লঙ্কা অবধি মিস করছি... কারণ এরা লঙ্কা খায়না!
যদিও আমার মিস করার তালিকাটা বেশ দীর্ঘ!
সূর্য, পেঁয়াজ,চড়ুই, ফুচকা, বাসের কন্ডাক্টারের চীৎকার, অটোর লাইন, লাল পতাকার বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক স্লোগান, কাকের কা কা এমনকি মমতা ব্যানার্জ্জীকেও!!!
এমন হতচ্ছাড়া দেশ, কাক অবধি চীৎকার করে না!
হোয়াই ম্যান? হোয়াই? হোয়াই?
পায়রা আছে অনেক, সেগুলো খেয়ে খেয়ে এত্তো মোটা হয়ে গেছে! তাদের উড়তেও আলিস্যি! এক হাত উঁচু গাছে বাসা করে বসে আছে এবং অবশ্যই নো বক বকম!
মাঝেমধ্যেই প্যানপ্যান করছি এ ক্যামন দেশরে বাবা! সূর্য নেই, কাক নেই, মানুষের চীৎকার নেই! তবে আছে টা কি!!!!!
বর্ষাকাল আমার খুবই প্রিয়.. আমি তো বর্ষার মেয়ে, তাই বৃষ্টির সাথে আমার খুব আপন সম্পর্ক। কিন্তু এদেশের বৃষ্টিটাও বাজে! এরা অতি সন্তর্পণে ঝরবে! কেন রে বাবা! ঝমঝমিয়ে নাম না একবার!! তা নয়, টিপ টিপ করে পড়ছে। যেন একটু বেশি জোরে বৃষ্টি হলেই মাস্টারমশাই খুব বকে দেবে!
কলকাতায় অফিস যাওয়ার সময় খুব চাইতাম একটু মেঘ করুক, সেইসময় আমি অফিস পৌঁছে যাই টুক করে! আর এখানে চাইছি সূর্য উঠুক অন্তত আজকে! অনন্ত অপেক্ষা তবু সূর্য উঠছে না! সেই কবে ভারতবর্ষে সূর্যের মুখ দেখেছিলাম!
গতকাল গোটা বিশ্বে উল্কাপাত হলো, সবাই দেখলো আমি বাদে!
মেঘাচ্ছন্ন মাইন্জ!
আমার দেশের পেঁয়াজের রংটাও কি সুন্দর...কথাতেই আছে পেঁয়াজী রং! ও বাবা! এ দেশের পেঁয়াজ তো সবুজ!!!!
এতো সবুজের বহর দেখলে আমাদের দিদি ভারী খুশি হতো!
কি ভাগ্যিস গাজরের রংও সবুজ নয়!
এখানে আমি লঙ্কা অবধি মিস করছি... কারণ এরা লঙ্কা খায়না!
যদিও আমার মিস করার তালিকাটা বেশ দীর্ঘ!
সূর্য, পেঁয়াজ,চড়ুই, ফুচকা, বাসের কন্ডাক্টারের চীৎকার, অটোর লাইন, লাল পতাকার বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক স্লোগান, কাকের কা কা এমনকি মমতা ব্যানার্জ্জীকেও!!!
এমন হতচ্ছাড়া দেশ, কাক অবধি চীৎকার করে না!
হোয়াই ম্যান? হোয়াই? হোয়াই?
পায়রা আছে অনেক, সেগুলো খেয়ে খেয়ে এত্তো মোটা হয়ে গেছে! তাদের উড়তেও আলিস্যি! এক হাত উঁচু গাছে বাসা করে বসে আছে এবং অবশ্যই নো বক বকম!
মাঝেমধ্যেই প্যানপ্যান করছি এ ক্যামন দেশরে বাবা! সূর্য নেই, কাক নেই, মানুষের চীৎকার নেই! তবে আছে টা কি!!!!!
কদিন আগে ক্রীসমাস পার্টিতে গেলাম। হাই এনার্জী পার্টিকল ডিপার্টমেন্টের পার্টি! তা সেখানে সবাই বিশেষ জ্ঞানী!
চুনোপুঁটি বিজ্ঞানী থেকে আরম্ভ করে হাইফাই বিজ্ঞানী সবরকমই আছেন সেই পার্টিতে!
সেই পার্টি এমন ....কি আর বলবো! লোকে ফিসফিস করে কথা বলছে! যেন হাসপাতালে এসেছি কিংবা সদ্য সদ্য কেউ মারা গেছে! ইনফ্যাক্ট আমাদের দেশে লোক মারা গেলেও এর থেকে বেশি হৈ চৈ হয়! লোকজন চুপচাপ খেলো... তিনচারজন গিটার, পিয়ানো আর ভায়োলিন বাজালো ব্যস!!!
আমি ভাবলাম আমিই উঠে দুটো রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে দিই!
একি রে বাবা! এটা পার্টি!!! কাঁটা চামচ ছুরির টুংটাং আওয়াজ ছাড়া কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না!
চুনোপুঁটি বিজ্ঞানী থেকে আরম্ভ করে হাইফাই বিজ্ঞানী সবরকমই আছেন সেই পার্টিতে!
সেই পার্টি এমন ....কি আর বলবো! লোকে ফিসফিস করে কথা বলছে! যেন হাসপাতালে এসেছি কিংবা সদ্য সদ্য কেউ মারা গেছে! ইনফ্যাক্ট আমাদের দেশে লোক মারা গেলেও এর থেকে বেশি হৈ চৈ হয়! লোকজন চুপচাপ খেলো... তিনচারজন গিটার, পিয়ানো আর ভায়োলিন বাজালো ব্যস!!!
আমি ভাবলাম আমিই উঠে দুটো রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে দিই!
একি রে বাবা! এটা পার্টি!!! কাঁটা চামচ ছুরির টুংটাং আওয়াজ ছাড়া কিচ্ছু শোনা যাচ্ছে না!
সাড়ে আটটায় সকাল হয়ে চারটেই সন্ধ্যে! আমি ঘুম থেকে উঠতে না উঠতে দিন শেষ!
জানালা দিয়ে তাকাবো কি! শুধুই বৃষ্টি! কাঁহাতক আর “শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে” গাওয়া যায়!!!
সবথেকে অসুবিধা হলো কথা বলা! এরা ইংরাজী বোঝে না, বলেও না! এ এক মহা জ্বালা! কথা না বলে বলে পেট ফেঁপে যাচ্ছে!
সূর্য নেই, কাক নেই, চড়ুই নেই...গাড়ির হর্ণ নেই!
নিস্তব্ধ চরাচর... টিপটিপ পা টিপে চলা বৃষ্টির দেশ।
জানালা দিয়ে তাকাবো কি! শুধুই বৃষ্টি! কাঁহাতক আর “শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে” গাওয়া যায়!!!
সবথেকে অসুবিধা হলো কথা বলা! এরা ইংরাজী বোঝে না, বলেও না! এ এক মহা জ্বালা! কথা না বলে বলে পেট ফেঁপে যাচ্ছে!
সূর্য নেই, কাক নেই, চড়ুই নেই...গাড়ির হর্ণ নেই!
নিস্তব্ধ চরাচর... টিপটিপ পা টিপে চলা বৃষ্টির দেশ।
No comments:
Post a Comment