ঈদ আসছে। খুশির ঈদ। আমিও খুশি। তবে এখন বড়ো হয়ে গেছি। এখন আগের মতো খুশি
হয়না। ইসকুল থেকে আসার সময় যেদিন প্যান্ডেলের প্রথম বাঁশটা দেখতে পেতাম,
মনটা আনন্দে ভরে উঠত। লাফাতে লাফাতে বাড়ি আসতাম। প্রথম রোজা যেদিন শুরু হতো
সেদিন থেকেই নিউ-য়ের বায়না শুরু হতো। কবে যাব ঈদের বাজার করতে। আম্মু বলতো
আজ যাব কাল যাব। তারপর আম্মু একদিন বেরোতো বাজার করতে.. অনেক দোকান ঘুরে
সুন্দর অথচ সস্তা জামা কাপড় কিনে বাড়ি ফিরতো। এক-একবার দেরি হয়ে যেতো।
পাড়ার মোম্স্ , মিমন, জুঁই দের শপিং শেষ, অথচ আমাদের হয়নি। কি অবস্থা। আসলে
আব্বু হয়তো টাকা জোগাড় করতে পারেনি। অন্য সকলের আব্বুর মতো আমার আব্বুর তো
চাকরি ছিল না, তাই মাসের শেষে টাকা আসবেই তার গ্যারান্টি ছিলো না। সে কথা
তো তখন বুঝতে পারতাম না। টাকা পয়সার টানাটানি হলেও কোনোদিন টের পেতাম না,
আব্বু আম্মু কোনোদিন টেরই পেতে দেয়নি। তাই দেরি হলে চিন্তা করতাম এবারে মনে
হয় ভালো জামাটা কেনা হবে না, কারন রোজার শেষের দিকে সবার শপিং যখন শেষ,
তখন তো ভালো জিনিস টা আর থাকবেই না। কিন্তু দেরি হলেও প্রতিবার পছন্দসই
জামাটাই পেতাম। সাথে ম্যাচিং জুতো, ম্যাচিং ক্লীপ। সে কি আনন্দ। বাড়িতে যেই
আসতো উৎসাহ ভরে দেখাতাম নতুন কেনা জামা কাপড়। আব্বুআম্মু একটা জামা দিতো
আর দাদাভাই একটা। দুটো জামা হতো। যদ্দিন দাদাভাই বেঁচে ছিল ঈদে দুটো করে
জামা হতো। ছোটো বেলা থেকেই একটা জিনিস নিয়ে আমার দুঃখ ছিল, আমার চাচা বা
কাকু ছিল না। আমার আব্বু একটাই ছেলে। চাচু বা কাকু থাকলে আমাদেরও তিনটে
চারটে নূতন জামা হত। আমাদের আশে পাশে সবার চাচা কাকা ছিলো। সবাই ঈদের জামা
কাপড় দেখানোর সময় বলতো এটা আমার বড়ো চাচু দিয়েছে, এটা ছোটো চাচু। আর
আমাদের তো শুধু আব্বু আছে, তাই অতোগুলো হতো না। আমার মনে হত ইস্ আমার কেন
চাচু নেই। অ্যাটলিস্ট একটাও হতো। আমার বড়ো দাদাও নেই যে আমাকে শপিং করাবে,
তাই যে বছর আবিদ ভাইয়া আমাকে ঈদের জন্য নূতন জামা কিনে দিয়েছিল লাইফ স্টাইল
থেকে আমি প্রচুর খুশি হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল ইস আমারো একটা বড়ো ভাই আছে
তবে।
আমরা যখন দুঃখ করতাম আমাদের মোটে একটা জামা। তখন আম্মু আব্বু
আমাদের একটাই কথা বলতো, তোমাদের তো একটাও নূতন জামা হচ্ছে। এমন অনেকে আছে
যাদের একটাও জামা কাপড় হয়না। তাদের কথা ভেবে কখনো দেখবে। সতি্যই তো! যাদের
একটাও জামা হয়না, কত খারাপ লাগে তাদের। তাদেরও তো ইচ্ছে হয় একটা নতুন
জামার!
ঈদের সময় আমাদের বাড়ি থেকে কোনদিন কোনো গরীব মানুষকে খালি হাতে
ফিরতে দেখিনি, একমাস আগে থেকে লোকজন আসতে থাকে নূতন জামা কাপড়ের আশায়, টাকা
পয়সার আশায়। সবাই কিছুনা কিছু পায়।
আব্বু আম্মু কোনোদিন কোনো
অবস্থাতেই তাদের খালি হাতে ফেরায়নি, এমনকি আর্থিক সমস্যার দিনেও খালি হাতে
কেউ যায়নি। আব্বু আম্মু কিন্তু ঈদে নূতন জামা কাপড় কখনো কিনতো না, মামারা
কখনো দিলে আলাদা কথা। এখন তো বড়ো হয়ে গেছি, এখন আর আব্বু আম্মুরা নূতন জামা
কিনে দেয় না, এখন আমরা দুই বোনই আম্মু হয়ে গেছি, আমরাই জামা কাপড় কিনে দিই
আব্বুআম্মুকে ।
আমরা দুই বোন দুই বোনকে নূতন জামা কিনে দিই। আমরাই আমাদের চাচু, কাকু, ফুফুমনি, বোন, বন্ধু সব।
নিউ আর কচি তোদেরকে আমি অনেক ভালোবাসি। বলতে পারি না। তাই লিখলাম। তোদেরকে
অনেক সময় হার্ট করে ফেলি। আসলে যাদের আমরা ভালোবাসি তাদেরকেই সবথেকে দুঃখ
দিই।
I Am sorry and I love you!
তোরা ছাড়া কেউ কি আছে আমার? আমরা
একে অপরের পরিপূরক, দুঃখ আনন্দের সাথী। আবিদ ভাইয়া তোমাকেও আমি ভীষণ
ভালোবাসি, তুমি কি জানো তুমি আমার দেখা সেরা পে্রমিক।
এই ঈদে আমরা সবাই আনন্দ করবো সব খারাপ লাগা ভুলে।
সবাই ভালো থাকুক, সাথে আমরাও।
কচি কচি সব মন ঈদে একটা হলেও যেন নূতন জামা পায়। হে আল্লাহ্পাক , আমি
নামাজ, রোজা করিনা কিন্তু তোমাকে বিশ্বাস করি, আর বিশ্বাস রাখি মানুষের
উপর। আমরা কি পারি না প্রতে্যকে একজন করে হলেও যেন একটা শিশু, গরীব মানুষের
মুখে হাসি ফোটাতে? নিশ্চয়ই পারি।
সবাই খুশি থাকুক আর আনন্দে থাকুক।
ঈদ আসছে। আর সাতটা দিন বাকি।
লাচ্ছা, সিমাই, ফিরনি, বিরিয়ানি, নতুন জামা, আতরের গন্ধে ম ম খুশির ঈদ।
Wednesday, 12 August 2015
হু হু বাবা জানো না তো আমার ক্ষ্যামতা।
প্রবলেমের সাথে আমার মিতালি জন্ম থেকেই। আমার জীবনে কোনো কাজ সুষ্ঠু ভাবে
হলোনা। আল্লাহমিঞা আমার লাইফে সমস্যাকে লেজুড় হিসেবে জুড়ে দিয়েছে। টেনশন
নিয়ে নিয়ে এই বয়সেই মাথার চারটে চুল পেকে গেছে, বাকি গুলোও যে কোনদিন
নির্বাণ লাভ করতে পারে। যেদিন কোনো সমস্যা থাকে না সেদিন চিন্তায় পড়ে যাই,
হলো কি? আল্লাহমিঞার শরীর ঠিক আছে তো! আজ আমার লাইফ এতো স্মুদলি কাটলো কি
ভাবে।
সেদিনকেও টেনশন একটুস কম ছিল, মনে মনে ভাবছিলুম আজকে ছোটো খাটো সমস্যার উপর দিয়ে গেছে বাবা! একদম টেনশন ছাড়া দিনও নয়, আবার খুব বেশি টেনশনও ছিল না।
কিন্তু কোথায় কি! আমার লাইফ এতো নিস্তরঙ্গ হতেই পারে না!
ফ্ল্যাটে ফিরেই আমার রুমে দেখি অদ্ভুত আওয়াজ, কেমন হড়পা বান আসার শব্দ। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম অ্যাটাচ্ড বাথরুম আওয়াজের উৎস। তারপর দেখলাম বাথরুমের জল নিকাশীর পাইপ হতে হড়হড় করে জল ঢুকছে। কি মুসিবত! ফ্ল্যাটে সেদিন ভাই ছিলো, তাকে বলতে সে বললে জল ঢুকছে তো আমি কি করব! সত্যিই তো, ও কি করবে! আদরে বাঁদর হয়েছে একটা।
অগত্যা আমিই গেলাম সিকিউরিটির কাছে, তাকে গিয়ে বললাম সমস্যার কথা। তিনি বললেন পরের দিন ব্যাপারটা সরেজমিনে তদন্ত নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু ঐ যে আমি , কিছুতেই ভরসা করতে পারি না। অতএব তাকে বগলদাবা করে চল্লুম আমাদের ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটের নিচে আসতেই হড়হড় করে জলের শব্দ । সিকিউরিটি ব্যাপারটার গুরুত্ব অনুধাবন করে বললো কেউ বোধহয় ভুলবশত জলের কল খুলে রেখেছে। অতএব কে এই ভুলটা করেছে সেই নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেল উপরের ফ্ল্যাটে কেউ নেই, অতএব যা কিছু হয়েছে ছাতেই হয়েছে। দুজন মিলে ছাতে গিয়ে দেখলাম চারিদিকে জল থইথই। পাইপের জয়েন্ট খুলে গেছে, হড়হড় করে জল বেরোচ্ছে। এই ভাবে চললে কিছুক্ষণের মধে্যই ট্যাঙ্ক থেকে সব জল বেরিয়ে যাবে আর সারারাত জলের সমস্যা নিয়ে কাটাতে হবে। সিকিউরিটি সব কিছু দেখে শুনে বললো
আজকের মতো জল স্টোর করে রাখুন।কাল সকালে দেখা যাবে।
শুনেই আমি ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে বললাম অদ্ভূত কথা বলছেন তো! আমি এখন অতো বালতি পাবো কোথায়? আপনি দেবেন? সারারাত কি বিনা জলে কাটাবো? খাওয়ার জল অবধি নেই বাড়িতে। আপনি কিছু একটা ব্যবস্থা করুন, দরকার পড়লে প্রোমোটারকে ফোন করুন, কিন্তু আজকেই করতে যা করার করতে হবে, নইলে আমাকে বালতি দিতে হবে। বেচারা সিকিউরিটি টেনশনে, বালতির জন্য। প্রোমোটারকে ফোন করে বিশেষ লাভ হলনা, সে ব্যাটা মহা বদ, পয়সা ছাড়া কিছু বোঝে না। অবশেষে আমিই প্লাম্বারকে ফোন করলাম, তাকে অনুরোধ করেও লাভ হলনা, অতএব তাকে আচ্ছাসে ঝেড়ে ফোনটা রেখে দিলাম। সিকিউরিটি বেচারা কাঁচুমাচু মুখ করে আমাকে বললো দেখছেন তো আপনার কথাই শুনলে না, আমাদের তো পাত্তায় দেয় না।
শুনে বেশ রাগ হলো আমার। ভেবেছে কি আমাকে, চেনে না তো আমি কি জিনিষ। দরকার পরলে জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ সব করতে পারি, তার উপর ইঞ্জিনিয়ার , এক রাতে সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে গেলাম তো সামান্য এই পাইপ সমস্যার সমাধান করতে পারবো না? যেমন ভাবা তেমন কাজ, অমনি কাজে লেগে পরলাম।
পাইপের ভাল্ভ বন্ধ করে জলের ফোর্স কমিয়ে খুলে যাওয়া পাইপের অংশটুকু লাগিয়ে কাপড়, দড়ি ইত্যাদি দিয়ে বেশ ভালো করে আটকে সেদিন রাতের মতো ব্যবস্থা হলো। যদি প্লাম্বিং এর জিনিষ পত্র থাকতো তবে ঐ হতচ্ছাড়া প্লাম্বারের অহংকার চূর্ণ করে করে প্লাম্বিংয়ের ব্যবসা খুলতাম। মিস্ত্রী পেশার পর প্লাম্বিং পেশাটাও হাতে রইল। আহা চাকরি বাকরি চলে গেলে করে কম্মে খেতে পারবো।
মাঝেমধ্যে ভাবি আর নিজেই খুশি হয়ে যাই, আমার মধে্য কি অপরিসীম প্রতিভা। শুধু বেলা এগারোটার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারি না তাই, নইলে দেখিয়ে দিতুম আরকি।
প্রতিভার বিচ্ছুরন, একদম পি্রজমের ভিতর আলো যাওয়ার মতো।
সেদিনকেও টেনশন একটুস কম ছিল, মনে মনে ভাবছিলুম আজকে ছোটো খাটো সমস্যার উপর দিয়ে গেছে বাবা! একদম টেনশন ছাড়া দিনও নয়, আবার খুব বেশি টেনশনও ছিল না।
কিন্তু কোথায় কি! আমার লাইফ এতো নিস্তরঙ্গ হতেই পারে না!
ফ্ল্যাটে ফিরেই আমার রুমে দেখি অদ্ভুত আওয়াজ, কেমন হড়পা বান আসার শব্দ। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম অ্যাটাচ্ড বাথরুম আওয়াজের উৎস। তারপর দেখলাম বাথরুমের জল নিকাশীর পাইপ হতে হড়হড় করে জল ঢুকছে। কি মুসিবত! ফ্ল্যাটে সেদিন ভাই ছিলো, তাকে বলতে সে বললে জল ঢুকছে তো আমি কি করব! সত্যিই তো, ও কি করবে! আদরে বাঁদর হয়েছে একটা।
অগত্যা আমিই গেলাম সিকিউরিটির কাছে, তাকে গিয়ে বললাম সমস্যার কথা। তিনি বললেন পরের দিন ব্যাপারটা সরেজমিনে তদন্ত নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু ঐ যে আমি , কিছুতেই ভরসা করতে পারি না। অতএব তাকে বগলদাবা করে চল্লুম আমাদের ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটের নিচে আসতেই হড়হড় করে জলের শব্দ । সিকিউরিটি ব্যাপারটার গুরুত্ব অনুধাবন করে বললো কেউ বোধহয় ভুলবশত জলের কল খুলে রেখেছে। অতএব কে এই ভুলটা করেছে সেই নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেল উপরের ফ্ল্যাটে কেউ নেই, অতএব যা কিছু হয়েছে ছাতেই হয়েছে। দুজন মিলে ছাতে গিয়ে দেখলাম চারিদিকে জল থইথই। পাইপের জয়েন্ট খুলে গেছে, হড়হড় করে জল বেরোচ্ছে। এই ভাবে চললে কিছুক্ষণের মধে্যই ট্যাঙ্ক থেকে সব জল বেরিয়ে যাবে আর সারারাত জলের সমস্যা নিয়ে কাটাতে হবে। সিকিউরিটি সব কিছু দেখে শুনে বললো
আজকের মতো জল স্টোর করে রাখুন।কাল সকালে দেখা যাবে।
শুনেই আমি ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে বললাম অদ্ভূত কথা বলছেন তো! আমি এখন অতো বালতি পাবো কোথায়? আপনি দেবেন? সারারাত কি বিনা জলে কাটাবো? খাওয়ার জল অবধি নেই বাড়িতে। আপনি কিছু একটা ব্যবস্থা করুন, দরকার পড়লে প্রোমোটারকে ফোন করুন, কিন্তু আজকেই করতে যা করার করতে হবে, নইলে আমাকে বালতি দিতে হবে। বেচারা সিকিউরিটি টেনশনে, বালতির জন্য। প্রোমোটারকে ফোন করে বিশেষ লাভ হলনা, সে ব্যাটা মহা বদ, পয়সা ছাড়া কিছু বোঝে না। অবশেষে আমিই প্লাম্বারকে ফোন করলাম, তাকে অনুরোধ করেও লাভ হলনা, অতএব তাকে আচ্ছাসে ঝেড়ে ফোনটা রেখে দিলাম। সিকিউরিটি বেচারা কাঁচুমাচু মুখ করে আমাকে বললো দেখছেন তো আপনার কথাই শুনলে না, আমাদের তো পাত্তায় দেয় না।
শুনে বেশ রাগ হলো আমার। ভেবেছে কি আমাকে, চেনে না তো আমি কি জিনিষ। দরকার পরলে জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ সব করতে পারি, তার উপর ইঞ্জিনিয়ার , এক রাতে সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে গেলাম তো সামান্য এই পাইপ সমস্যার সমাধান করতে পারবো না? যেমন ভাবা তেমন কাজ, অমনি কাজে লেগে পরলাম।
পাইপের ভাল্ভ বন্ধ করে জলের ফোর্স কমিয়ে খুলে যাওয়া পাইপের অংশটুকু লাগিয়ে কাপড়, দড়ি ইত্যাদি দিয়ে বেশ ভালো করে আটকে সেদিন রাতের মতো ব্যবস্থা হলো। যদি প্লাম্বিং এর জিনিষ পত্র থাকতো তবে ঐ হতচ্ছাড়া প্লাম্বারের অহংকার চূর্ণ করে করে প্লাম্বিংয়ের ব্যবসা খুলতাম। মিস্ত্রী পেশার পর প্লাম্বিং পেশাটাও হাতে রইল। আহা চাকরি বাকরি চলে গেলে করে কম্মে খেতে পারবো।
মাঝেমধ্যে ভাবি আর নিজেই খুশি হয়ে যাই, আমার মধে্য কি অপরিসীম প্রতিভা। শুধু বেলা এগারোটার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারি না তাই, নইলে দেখিয়ে দিতুম আরকি।
প্রতিভার বিচ্ছুরন, একদম পি্রজমের ভিতর আলো যাওয়ার মতো।
Subscribe to:
Posts (Atom)