Tuesday, 21 June 2016

পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড এবং রাজ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মাদ্রাসা মানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি একটি আরবি শব্দ । অনেকের ধারণা মাদ্রাসাতে শুধুই জঙ্গী উৎপাদন হয় এবং অনেকের ধারণা মাদ্রাসাতে না পড়লে সহি মুসলিম হওয়া যায়না।
মাদ্রাসা কি ধরণের এসব আলোচনায় আমি আপাতত যাচ্ছি না।
তবে জেনে রাখা ভালো প্রচুর মাদ্রাসা আছে যেগুলি সরকারি অনুদার প্রাপ্ত এবং নথীভুক্ত। এগুলির পাঠ্যক্রম বড়ো বড়ো শিক্ষাবিদরাই করে থাকেন এবং এগুলি বিজ্ঞান সম্মত। (যারা জানতে চান তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস দেখে নেবেন একটু দয়া করে।)
যদিও মাদ্রাসার কথাটির সাথে ধর্মীয় লেনদেন কিছু নেই তবুও অস্বীকার করা যায়না যে এই মাদ্রাসাগুলি ভারতীয় মুসলিম সমাজের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে এবং এখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মুসলিম।
অবশ্যই হিন্দু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীও আছে তবে সংখ্যায় কম , কারণ উপরোক্ত কারণে এটিকে মুসলিদের প্রতিষ্ঠান বলেই ধরা হয়।
এবার আসল কথায় আসি।
আমি মাদ্রাসা এবং রাজ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পৃথকীকরণের বিপক্ষে।
কেন একজন শিক্ষার্থীকে ধর্মের ট্যাগ দেওয়া হবে শিশুকালেই? কেন একটা মাদ্রাসায় একজন অন্য ধর্মের মানুষ ভর্তি হতে ভয় পাবে কারণ তাদের ধারণা সেখানে শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়? কেনই বা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হবে? কেনই বা মাদ্রাসা বোর্ড বলে একটি পৃথক বোর্ড করে বুঝিয়ে দেওয়া হলো ঐ প্রতিষ্ঠান মুসলিমদের জন্য? আমি এই মেরুকরণের তীব্র প্রতিবাদ করি। ছোটো বেলা থেকেই শিশু মনে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীশ্চান এই কথাগুলো ঢোকানোর তীব্র প্রতিবাদ করি।
আমি মনে করি মাদ্রাসা বোর্ড এবং রাজ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকে এক ছাতার তলায় আনা উচিত। সংস্কৃতের পাশাপাশি আরবী , ফার্সী ভাষাও রাখা হোক সব স্কুলে বাধ্যতামূলক ভাবে। যার যে ভাষা শেখার ইচ্ছে, সে সেটাই শিখবে। মুসলিম বলে আরবি শিখতে হবে বা হিন্দু বলে সংস্কৃত এই মেরুকরণের শিক্ষা বন্ধ হোক। একজন মুসলিম চাইলে সংস্কৃত এবং একজন হিন্দু চাইলে আরবী শিখতেই পারে। কারণ ভাষার কোনো ধর্ম হয়না।
দরকার পরলে গরীব শিক্ষার্থীদের ভর্তুকি দেওয়া হোক যাতে সে শিক্ষা লাভ করার উৎসাহ পায়।

No comments:

Post a Comment