সবেবরাত, ইবাদতের রাত। আম্মু বলে আজকে গভীর রাতে নাকি গাছেরাও সিজদা করে। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। সে দৃশ্য সবাই নাকি দেখতে পায় না। খুব আমলদার ইমানদার ভাগ্যবান রাই দেখতে পায়। ছোটো বেলায় একবার সারা রাত জেগে বসে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। পেলামই না দেখতে। অতো ভাগ্যি বোধহয় নেই, তার উপর আল্লাহ মিঞার খুব একটা প্রয়ি নই, সেটা লাস্ট কিছু বছরে পরিস্কার বুঝে গেছি। আম্মু বলে আল্লাহর নির্দেশে সবেবরাতের রাতে ফেরেস্তারা আসেন সারা বছরের ভাগ্য লিখতে। লাস্ট বছর হেব্বি খারাপ ভাগ্য লিখছিলেন ভদ্রলোকেরা , আই মিন টু সে, ভদ্রফেরেস্তারা। লিখবার আগে একটু ভাবেনিকো! যা মন গেছে লিখে দিয়েছেন। যাই হোক কি আর করবো , ভেবে মেনে নিয়েছিলাম অগত্যা। এবারে আশা করছি একটু ভালো লিখবেন! রিকোয়েস্ট করে নিয়েছি ভালো করে।
সবেবরাতের সাথে আমার ছোট্ট বেলা জড়িয়ে, কি ভালো দিন ছিল! আমার দাদাভাই সবেবরাতের দিন অনেক রকম বাজী আনতেন। সাপ, রসবাতি, রকেট, ফুলঝুড়ি, চড়কি আরো কত্তোরকম। কিন্তু কোনো শব্দবাজী কোনোদিন আনতেন না। আর আনতেন অনেক রকম মোমবাত্তি। আমরা তিন ভাইবোন সকাল থেকে অপেক্ষা করতাম কখন সন্ধে হবে আর আমরা সবাই মিলে বাজী পোড়াবো, মোমবাত্তি জ্বালাবো। আব্বু আনত তুবড়ি। বড়ো, মেজো , ছোটো তুবড়ি।
সন্ধে হলেই সারা বাড়িটা মোমের আলোয় উদ্ভাসিত।লাইট অফ করে দেওয়া হতো। আমাদের পুরোনো বাড়িটার আনাচে কানাচে জমাট অন্ধকারে মোমের আলো মায়াবী, গা ছম্ছমে পরিবেশ সৃষ্টি হতো। কখনো কখনো তীব্র হাওয়া এসে মোমবাতি নিভিয়ে চলে যেতো, আবার প্রথম থেকে জ্বালানো শুরু। মুরুব্বীরা বলেন, আজকের দিনে আল্লাহর কাছ থেকে আমাদের মৃত পূর্বপুরুষগণ ছুটি পান, নিজের নিজের বাড়ি আসেন এটা দেখতে যে তাদের পি্রয়জনরা কেমন আছে। তাই সব্বাই যেন মিলেমিশে থাকে, কোনো ঝগড়াঝাঁটি নয়, রাগারাগি নয়! নইলে তেনারা কষ্ট পাবেন।
বাজী পোড়ানো শুরু। প্রথমে ফুলঝুড়ি, তারপর সাপ, চড়কি... এক্কেবারে লাস্টে তুবড়ি। তুবড়ি আমরা জ্বালাতে পারতাম না, ওটা আব্বুর দায়িত্ব ছিলো। কি সুন্দর হুস করে অ্যাত্তোবড়ো ফোয়ারার মতো ফুলকি। আম্মু বলতো সরে আয়, সরে আয়, গায়ে পড়বে, পুড়ে যাবে। আমরা ভয়ে আনন্দে লাফাতে লাফাতে সরে আসতাম। এবার আমার তুবড়িটা জ্বালাতে হবে বায়না তিন জনেরই। যার টা ভালো আর বেশি উচ্চতায় যেতো সে নিজেকে বিজয়ী ভেবে গর্বিত। কার টা বেশি ভালো জ্বলেছে তা নিয়ে তর্ক। আব্বু-আম্মুকে বিচারক করে উৎসুক তিন জনাই। সব থেকে কঠিন বিচার পিতামাতার, কোন সন্তানকে নিরাশ করবে! শেষে সিদ্ধান্তগ্রহণ করতো তিন জনের তুবড়ি সমান জ্বলেছে। সব্বাই বিজয়ী।
সন্ধে হলেই সারা বাড়িটা মোমের আলোয় উদ্ভাসিত।লাইট অফ করে দেওয়া হতো। আমাদের পুরোনো বাড়িটার আনাচে কানাচে জমাট অন্ধকারে মোমের আলো মায়াবী, গা ছম্ছমে পরিবেশ সৃষ্টি হতো। কখনো কখনো তীব্র হাওয়া এসে মোমবাতি নিভিয়ে চলে যেতো, আবার প্রথম থেকে জ্বালানো শুরু। মুরুব্বীরা বলেন, আজকের দিনে আল্লাহর কাছ থেকে আমাদের মৃত পূর্বপুরুষগণ ছুটি পান, নিজের নিজের বাড়ি আসেন এটা দেখতে যে তাদের পি্রয়জনরা কেমন আছে। তাই সব্বাই যেন মিলেমিশে থাকে, কোনো ঝগড়াঝাঁটি নয়, রাগারাগি নয়! নইলে তেনারা কষ্ট পাবেন।
বাজী পোড়ানো শুরু। প্রথমে ফুলঝুড়ি, তারপর সাপ, চড়কি... এক্কেবারে লাস্টে তুবড়ি। তুবড়ি আমরা জ্বালাতে পারতাম না, ওটা আব্বুর দায়িত্ব ছিলো। কি সুন্দর হুস করে অ্যাত্তোবড়ো ফোয়ারার মতো ফুলকি। আম্মু বলতো সরে আয়, সরে আয়, গায়ে পড়বে, পুড়ে যাবে। আমরা ভয়ে আনন্দে লাফাতে লাফাতে সরে আসতাম। এবার আমার তুবড়িটা জ্বালাতে হবে বায়না তিন জনেরই। যার টা ভালো আর বেশি উচ্চতায় যেতো সে নিজেকে বিজয়ী ভেবে গর্বিত। কার টা বেশি ভালো জ্বলেছে তা নিয়ে তর্ক। আব্বু-আম্মুকে বিচারক করে উৎসুক তিন জনাই। সব থেকে কঠিন বিচার পিতামাতার, কোন সন্তানকে নিরাশ করবে! শেষে সিদ্ধান্তগ্রহণ করতো তিন জনের তুবড়ি সমান জ্বলেছে। সব্বাই বিজয়ী।
সবেবরাতে আমাদের বাড়িতে গরীব মানুষজনদের আম্মু বিরিয়ানি বা পোলাও রান্না করে বিতরণ করে। একতলার বারান্দায় লাইন করে লোকজন খাবার, টাকা নিয়ে যায়। গোল থামে হেলান দিয়ে দেখতাম আম্মুর ধৈর্য। এক এক করে সবাইকে সমান খাবার দিয়ে যাচ্ছে।
এইদিন আমাদের বাড়িতে চালের আটার রুটি আর নানান রকমের হালুয়া হতো। আমার আম্মু ভীষণ ভালো হালুয়া বানায়, এক কথায় অসাধারণ। পাড়ার লোকজনদের সাথে হালুয়া , রুটি আদানপ্রদান চলতো। হাতে বোনা কুরুশের ফুল তোলা ঝালড় তোলা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বাড়ি বাড়ি হালুয়া দিয়ে আসতাম আমি আর নিউ। এখন সবাই ব্যস্ত, এই পুরোনো মিষ্টি রেওয়াজ গুলো আস্তেআস্তে লুপ্ত হয়ে আসছে। আজকের সারারাত আম্মু নামাজ পড়বে, দোয়া চাইবে, আম্মুর মতো অনেকেই নামাজ পড়বেন। বাড়িতে বাড়িতে দোয়া চাওয়া হবে, মোমবাতির আলোয় উদ্ভসিত হবে গরীব হতে বড়োলোকের বাড়ি।
আল্লাহ গো আজকে যেন সবার কপাল ভালো লিখো। হালুয়া না হোক পেটে খাবার নসিব যেন হয় এই পৃথিবীর অগুন্তি গরীব মানুষজনদের। নামাজ পড়িনি, নিয়ত্ ভালো রেখে চাইছি। জানি তোমার যতটা সম্ভব তুমি করবে। সবাইকে ভালো রেখো, আর এই মেয়েটার কথা একটু ভেবো।
আমিন।
এইদিন আমাদের বাড়িতে চালের আটার রুটি আর নানান রকমের হালুয়া হতো। আমার আম্মু ভীষণ ভালো হালুয়া বানায়, এক কথায় অসাধারণ। পাড়ার লোকজনদের সাথে হালুয়া , রুটি আদানপ্রদান চলতো। হাতে বোনা কুরুশের ফুল তোলা ঝালড় তোলা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বাড়ি বাড়ি হালুয়া দিয়ে আসতাম আমি আর নিউ। এখন সবাই ব্যস্ত, এই পুরোনো মিষ্টি রেওয়াজ গুলো আস্তেআস্তে লুপ্ত হয়ে আসছে। আজকের সারারাত আম্মু নামাজ পড়বে, দোয়া চাইবে, আম্মুর মতো অনেকেই নামাজ পড়বেন। বাড়িতে বাড়িতে দোয়া চাওয়া হবে, মোমবাতির আলোয় উদ্ভসিত হবে গরীব হতে বড়োলোকের বাড়ি।
আল্লাহ গো আজকে যেন সবার কপাল ভালো লিখো। হালুয়া না হোক পেটে খাবার নসিব যেন হয় এই পৃথিবীর অগুন্তি গরীব মানুষজনদের। নামাজ পড়িনি, নিয়ত্ ভালো রেখে চাইছি। জানি তোমার যতটা সম্ভব তুমি করবে। সবাইকে ভালো রেখো, আর এই মেয়েটার কথা একটু ভেবো।
আমিন।
চারবছর আগে লিখেছিলাম... 😊
এখন বোধহয় এটা আর হাত দিয়ে নামবে না।
এখন বোধহয় এটা আর হাত দিয়ে নামবে না।
Sands Casino: Play the Best New Slot Games
ReplyDeleteThe Sands Casino is a top-rated online gaming site and you can play the best new slot games at 인카지노 Sands Casino septcasino in New Zealand with our exciting 메리트카지노 new