আজকে তৌসিফের এক কলিগের ফেয়ারওয়েল ছিলো। লোকটি চীন দেশের লোক, নাম ইয়াং।
ইয়াং ফিজিক্সের একজন ভালো গবেষক এবং খুব ভালো ছবি তোলে। চীন সরকার ইয়াংকে মোটা টাকা মাইনে দিয়ে প্রফেসর পদ অফার করেছে । তিরিশ শতাংশ মূল্য দিয়ে বাড়ি কেনা এবং অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে পর্যাপ্ত ছুটি এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ভিজিটের জন্যও ফান্ডিং করবে বলেছে। মোট কথা, খুবই ভালো অফার। ইয়াং এর তাই মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে চীনে চলে যাচ্ছে।
সেই ইয়াং আজকে পার্টি দিয়েছিলো একটা গ্রীক রেঁস্তোরায়। যার যা ইচ্ছা খাবার অর্ডার... সবাই ওর অফিসের এবং গ্রুপের লোক.. একমাত্র আমিই বহিরাগত এবং অবশ্যই পদার্থবিদ নই।
আমার সাথে তৌসিফের প্রায় সব কলিগের পরিচয় আছে এবং যথারীতি গাছের আম থেকে অ্যামাজনের পোকা সব নিয়েই আলোচনা হয়। তৌসিফ চুপচাপ শোনে... নতুন লোকে ভাবতে পারে যে এরা আমারই কলিগ.. তৌসিফ নিমন্ত্রিত। ভাবাটা মোটেই আশ্চর্যজনক হবে না।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের ডাইরেক্টর তথা তৌসিফের জার্মান হোস্টকে আজকে খেজুর গুড় এবং ছানা তৈরীর পদ্ধতি নিয়ে জ্ঞান বিতরণ করেছি... তিনি গুড় এবং বাঙালী মিষ্টির বিবরণ শুনে সাংঘাতিক ইমপ্রেসড। ভারত যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ অবধি প্রকাশ করেছেন। তৌসিফের অস্ট্রিয়ান কলিগ খেজুর রসের মদ খেতে সাংঘাতিক ইন্টারেস্টেড হয়েছে।
তো আলোচনায় ফা-হিয়েন, হিউ এন সাঙ থেকে আরম্ভ করে তৈমুর লং, মেগাস্থিনিস হয়ে দলাই লামা , বুদ্ধ (ভট্টাচার্য্য নয়) সবই এসেছে।
চীনের মাইথোলজি, অস্ট্রিয়ার রাজনীতি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপের রিফিউজি সমস্যা সবই আলোচ্য বিষয় ছিলো।
মোদ্দা কথা লাদাখের দুই কুঁজওলা উট থেকে আরম্ভ করে মিশরের নীলনদ সব নিয়েই গুরু গম্ভীর আলোচনা হয়েছে।
তবে অবশ্যই ফিজিক্স বাদ... আমি থাকতে ফিজিক্স নিয়ে আলোচনা কখনোই হতে পারে না!
এমন অবস্থায় আর একজন চীনা হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলো আমি দেবদাস দেখেছি না! ব্যস... আবার কি! গুরু চলে এসেছে আলোচনায়..দেবদাস নিয়ে ছোকরা সাংঘাতিক ইমপ্রেসড। সে আবার শাহরুখ খানের তুমুল ভক্ত। তার উদ্দীপনা দেখে অস্ট্রিয়ান ছেলেটা সিনেমার নাম লিখে নিলো যাতে সে পরে সিনেমাটা দেখতে পারে! এই সুযোগে টুক করে আমি শরৎচন্দ্র এবং বাংলার সাহিত্য নিয়ে পাঁচ মিনিটের টক দিয়ে দিলাম।
এইভাবেই আমরা একদিন চীন এবং বাকি দেশের সাথে যুদ্ধ মেটাবো ইনসাল্লাহ!
শাহরুখ খানের ভক্তরা মিলে সব যুদ্ধ, বিগ্রহ , রাগারাগি মিটিয়ে বিপ্লব আনবো দেশে দেশে!
কোনো এক পুণ্য প্রাতেঃ দুনিয়ার সব শাহরুখ ভক্তরা এক হও স্লোগানে মুখরিত হবে পৃথিবীর প্রতিটি কোণ।
শাহরুখ দীর্ঘজীবি হোক। 😍
ইয়াং ফিজিক্সের একজন ভালো গবেষক এবং খুব ভালো ছবি তোলে। চীন সরকার ইয়াংকে মোটা টাকা মাইনে দিয়ে প্রফেসর পদ অফার করেছে । তিরিশ শতাংশ মূল্য দিয়ে বাড়ি কেনা এবং অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে পর্যাপ্ত ছুটি এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ভিজিটের জন্যও ফান্ডিং করবে বলেছে। মোট কথা, খুবই ভালো অফার। ইয়াং এর তাই মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে চীনে চলে যাচ্ছে।
সেই ইয়াং আজকে পার্টি দিয়েছিলো একটা গ্রীক রেঁস্তোরায়। যার যা ইচ্ছা খাবার অর্ডার... সবাই ওর অফিসের এবং গ্রুপের লোক.. একমাত্র আমিই বহিরাগত এবং অবশ্যই পদার্থবিদ নই।
আমার সাথে তৌসিফের প্রায় সব কলিগের পরিচয় আছে এবং যথারীতি গাছের আম থেকে অ্যামাজনের পোকা সব নিয়েই আলোচনা হয়। তৌসিফ চুপচাপ শোনে... নতুন লোকে ভাবতে পারে যে এরা আমারই কলিগ.. তৌসিফ নিমন্ত্রিত। ভাবাটা মোটেই আশ্চর্যজনক হবে না।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের ডাইরেক্টর তথা তৌসিফের জার্মান হোস্টকে আজকে খেজুর গুড় এবং ছানা তৈরীর পদ্ধতি নিয়ে জ্ঞান বিতরণ করেছি... তিনি গুড় এবং বাঙালী মিষ্টির বিবরণ শুনে সাংঘাতিক ইমপ্রেসড। ভারত যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ অবধি প্রকাশ করেছেন। তৌসিফের অস্ট্রিয়ান কলিগ খেজুর রসের মদ খেতে সাংঘাতিক ইন্টারেস্টেড হয়েছে।
তো আলোচনায় ফা-হিয়েন, হিউ এন সাঙ থেকে আরম্ভ করে তৈমুর লং, মেগাস্থিনিস হয়ে দলাই লামা , বুদ্ধ (ভট্টাচার্য্য নয়) সবই এসেছে।
চীনের মাইথোলজি, অস্ট্রিয়ার রাজনীতি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপের রিফিউজি সমস্যা সবই আলোচ্য বিষয় ছিলো।
মোদ্দা কথা লাদাখের দুই কুঁজওলা উট থেকে আরম্ভ করে মিশরের নীলনদ সব নিয়েই গুরু গম্ভীর আলোচনা হয়েছে।
তবে অবশ্যই ফিজিক্স বাদ... আমি থাকতে ফিজিক্স নিয়ে আলোচনা কখনোই হতে পারে না!
এমন অবস্থায় আর একজন চীনা হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলো আমি দেবদাস দেখেছি না! ব্যস... আবার কি! গুরু চলে এসেছে আলোচনায়..দেবদাস নিয়ে ছোকরা সাংঘাতিক ইমপ্রেসড। সে আবার শাহরুখ খানের তুমুল ভক্ত। তার উদ্দীপনা দেখে অস্ট্রিয়ান ছেলেটা সিনেমার নাম লিখে নিলো যাতে সে পরে সিনেমাটা দেখতে পারে! এই সুযোগে টুক করে আমি শরৎচন্দ্র এবং বাংলার সাহিত্য নিয়ে পাঁচ মিনিটের টক দিয়ে দিলাম।
এইভাবেই আমরা একদিন চীন এবং বাকি দেশের সাথে যুদ্ধ মেটাবো ইনসাল্লাহ!
শাহরুখ খানের ভক্তরা মিলে সব যুদ্ধ, বিগ্রহ , রাগারাগি মিটিয়ে বিপ্লব আনবো দেশে দেশে!
কোনো এক পুণ্য প্রাতেঃ দুনিয়ার সব শাহরুখ ভক্তরা এক হও স্লোগানে মুখরিত হবে পৃথিবীর প্রতিটি কোণ।
শাহরুখ দীর্ঘজীবি হোক। 😍
ও হ্যাঁ, চীনে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইয়াং। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি তৌসিফ অবশ্যই চীনে যাবে.. না গেলে আমি ঘাড় ধরে তৌসিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ে টক দেওয়াতে নিয়ে যাবো.. আর সেই সুযোগে টুক করে চীন দেশ ঘুরে নেবো। 🤪
awesome
ReplyDelete